জাতীয় খবর

কেন পারলেন না প্রফেসর ইউনুস ?

Table of Contents

পাঠ্য বই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পৌঁছায় নাই কবে পৌঁছাবে এটা আমগো উপদেষ্টা জানে না শোনেন কি কয় কোন বাচ্চার এই মার্চের আগ পর্যন্ত সব বই দেওয়া হয়নি কবে না আবার সবাই সব বই পাবে এটা আমি জানিনা আপনি

উনারে জিগান আপনি ডায়াপার পাল্টাইছেন কিনা দেখবেন এটাও উনি জানেন না আবার আমার দেশের একটা প্রতিবেদন দেখলাম সেখানে দাবি করা হয়েছে যুবলীগ নেতার ষড়যন্ত্রে পাঠ্য বই পাওয়া বিলম্বিত হইতেছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে যেন এনসিটিভি বই তুলে দিতে না পারে সে লক্ষ্যে কলকাঠি নাড়তে শুরু থেকেই সক্রিয় হয়ে

ওঠে একটি চক্রম যারা অযথা সময় ক্ষেপণ করে লক্ষ্য হাসিল করতে চায় তাদের মূল লক্ষ্য ছিল অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও এনসিটিভি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা মিলেছে মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি এবং যুবলীগ নেতা জহুরুল ইসলাম পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সরকারকে বিব্রত করতে প্রথম থেকেই

সক্রিয় হয়ে ওঠেন এরই অংশ হিসেবে সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্য বই মুদ্রণের জন্য 25 মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুদ্রণ শিল্প সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জুনায়েদুল্লাহ আল মাহফুজ এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন

ডেকে ক্ষমা চান মাহফুজ এবং সমিতির প্যাডে চিঠিটি যাওয়ায় নিজের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন সমিতির সভাপতি রাব্বানী জাব্বারও রাব্বানী সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বারের আপন ভাই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী স্টিভ জব্বারের ভাইরে দেওয়া হয়েছে বই ছাপানোর

দায়িত্ব রাব্বানী জাব্বার তাই হবে না যাই হোক আজকে আমি শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রাথমিক আর মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সিলেবাস পাঠ্য বই পরীক্ষা পদ্ধতি এই সমস্ত নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে কথা বলব শিক্ষা সংস্কার নিয়ে কথা বলার আগে দুইটা জিনিস নিয়ে একটু কথা বলে নেই এটার সাথে সম্পৃক্ত ছাত্ররা বই পায় নাই এই যে মাসুদ কামাল

কইতেছে হাসিনার আমলে কখনোই বই পাইতে দেরি হয় নাই শোনেন কি কইতেছে তার মুখেই শোনেন এত বছর ধরে মানুষ সইরা মইরা সব বসে গালাগালি সব করছি এক তারিখে পোলাপান বই পাইছি পাইছে না উনি দিতে পারবেন না সে কি ঠিক বলিছে এই দেখেন এটা 2023 এর খবর বই ঠিক সময় মতো পাইছে আবার দেখেন এটা 2022

এর খবর তার আগের বছর ঠিক সময় মতো বই পাইছে 2023 এর আরেক খবর দেখায় এই যে দেখেন ঠিক সময় মতো বই পাইছে তাইলে মাসুদ কামাল কেন বলে যে হাসিনার আমলে বই পাইছে এক তারিখে মাসুদ কামাল হাসিনার লেসপেন্সারি করিচ্ছে ফ্যাসিবাদের লেসপেন্সারি করিচ্ছে এটা টের পাচ্ছি কারণ কারণ মাসুদ কামাল মনে করিচ্ছে আওয়ামী লীগ

যদি আবার ক্ষমতায় এসে যায় তাহলে একটা দাউ মারা লাগবে যাই হোক এটার বাইরে একটা কারণ আছে কারণ এটা হইতেছে বাংলাদেশ কেউ যদি প্রমিনেন্স পায় নিজেরে ঈশ্বর ভাবতে থাকে সে নিজেই রেফারেন্স উৎপাদন করে নিজে চেক করবে তার টাইম কই তাইলে এই যে মিছা কথাটা সে কইলো তার কি হবে মাসুদ কামাল

সিনিয়র সাংবাদিক যাই হোক আমি তার উপরে এখনই চড়াও হবো না তারে আমি বেনিফিট অফ ডাউট দিতে চাই স্লিপ অফ টাং তো হইতে পারে ভুল হইতে পারে কিন্তু মাসুদ কামাল এরপরে যদি ভুলভাল মিছা কথা কইছেন তাইলে বুঝেছেন একেবারে কচ্ছপের কামড় দিয়া ধর্ম কলে এবার

আসেন বইয়ের সিলেবাস পাল্টাইছে সরকার জুলাই আগস্টের বিপ্লবের ঘটনা ঢুকাইছে কি ঘটনা ঘটেছে সেটা দেখি আসেন দেখেন হাসিনার নাম নেয়নি পরে মনে হয় পুলিশের দায় শুধু আওয়ামী লীগ নাই ছাত্রলীগ নাই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মেইন কালপ্রিটের নাম নাই এরা বাচ্চাদের কি শিক্ষা দিতে চায় যদি বইয়ে হাসিনার নামই

লেখা না হয় আওয়ামী লীগের নামই লেখা না হয় ফ্যাসিবাদের নামই লেখা না হয় তাহলে গণঅভ্যুত্থানটা হইলো কার বিরুদ্ধে জনগণ হাসিনার বিরুদ্ধে দাঁড়াইছে পুলিশ তো প্রতিরোধ করতে জ্ঞান নিপীড়ন করছে হাসিনার অর্ডার নিয়ে এই নিঃশংস প্রতিরোধের দায় কেবল পুলিশকে দিচ্ছে কেন হাসিনার নাম কেন

নিচ্ছে না বাচ্চাদের জানা উচিত না হাসিনা জোর কইরা ক্ষমতায় থাকা এবং তার অপশাসনের বিরুদ্ধে আমরা ফাইট করছি আমাদেরকে এখনো কারা হাসিনার রাজ্যে রাখতে চাচ্ছে যে রাজ্যে হাসিনাকে কালপিট বলা যাবে না কে লিখেছে রাখাল রাহা ওর আসল নাম সাজ্জাদুল হক এই এত ইসলামোফোব যে নিজের মুসলমান

নামটা পাল্টায় এটা হিন্দু নাম নিছে প্রকৃতি খিল হইছে যে বইটা দেখাইলাম এটা পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বই এখানে যে খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাম লেখা হয়নি তা না নবম দশম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে জুলাই আন্দোলনের ইতিহাস কেন্দ্রিক একটা গদ্যযুক্ত করা হয়েছে এটাতেও খুনি হাসিনার নাম লেখা হয়নি আওয়ামী লীগের নাম নেওয়া

হয়নি ছাত্রলীগের নাম নেওয়া হয়নি নাম না নিয়ে এরা ইতিহাস লিখেছে কি লিখেছে দেখেন মূলতপাটন করবে শাসন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা ফ্যাসিবাদী এক শাসককে নিপীড়ক সরকার প্রস্তুত তার আছে দলীয় বাহিনী দেখেন হাসিনার নাম নেয়নি দলীয় বাহিনী ইউজ করছে হত্যাযোগ্য চালাইতে কিন্তু এই দলীয়

বাহিনী আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের নাম লিখতে এদের জাত যায় লজ্জা লাগে এরা ইতিহাস লিখতেছে কিন্তু আমরা কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি তার নাম লিখতেছে না কারা শহীদদের খুন করছে গুলি করছে পঙ্গু বানাইছে অন্ধ বানাইছে তাদের পরিচয় বলতেছে না এটা কেমন ইতিহাস আবার দেখেন লিখছে কিন্তু প্রতিরোধ করেছিল সরকারি দলের দুর্বৃত্ত বাহিনী

তাদের পাশে ছিল রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর ক্ষুদ্র একটা বিপদগামী অংশ মানে বুঝেছেন সরকারি দলের দুর্বিত্ত বাহিনী বলতে পারতেছে যেন এই বাহিনীর নাম নাই আপনারা দেখেন রাষ্ট্রবাহিনীর একটা ক্ষুদ্র অংশ নাকি বিপদগামী ছিল সেলুকাস যেখানে আস্ত একটা পুলিশ বাহিনী আস্ত র‍্যাব ডিজিএফআই এনএসআই ডিবি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াইছে

সেখানে ক্ষুদ্র একটা বিপদগামী অংশ নাকি দাঁড়াইছে কি কারে ইতিহাসের বিকৃতি বলেন এই ইতিহাস ঘটার চার পাঁচ মাস না যাইতেই এই ইতিহাস বিকৃতি তাও গণভূত সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পরে কি হবে তাইলে ভাবেন এই বই রাগালরা ঢুকে দিবেন হারামজাদা বুদ্ধিজীবী এবার বুঝেছেন তো কেন আমি ভাঙবো

সুশীলগর আর বান্দের গেলাই সিলেবাস নিয়ে হাসিনার আমলে কত কান্ড হইতো আপনাদের মনে আছে না আমি একটার পর একটা এপিসোড করেছি দেখেন কতগুলো এপিসোড করেছি অসম্ভবতিগুলো দেখায় দেওয়ার জন্য সিলেবাস নিয়ে সিরিয়াস কাজ হাতে গোনা বাংলাদেশে কয়েকজন করছে তার মধ্যে আমি একজন একবার ঘুনাক্ষর

আমারে কইলো না ভাই আপনার মতামত গুলো কি বলেন বইগুলো দেখে একটু গুলো দেন বলে না আমি যে খুব জ্ঞানী লোক তা না কিন্তু আমাকে দেখতে দিলে তো ক্ষতি নাই তাই না আমার রিকমেন্ডেশন নিয়েন না দরকার হইলে একটা মতামত তো ফ্রি ফ্রি পাইতেন তাই না রাগালরা যে কাজটা করিচ্ছে টাকা নিচ্ছে গাড়িত ঘুরিচ্ছে গাড়ি পাইছে একটা ফ্রি অফিস

পাইছে স্টাফ পাইছে আমারে তো টাকাও দিতে হতো না তো সাজেশন নেন না কেন কারণ হইতেছে রাখাল রাহা শুধু হিন্দু নামই নেয়নি তার সাথে হিন্দু ধর্মের বর্ণ প্রথাও নিছে আমি তো নমশূদ্র তাই আমার সাজেশন নিলে জাত যাবে রাখাল রাহার রাখাল রাহালে দেখলে জিগায়েন

তো ওই যে ক্ষুদ্রকালে ওর যন্ত্রের যে কর্তৃত্ব চামড়া আছে না আগা ওইটা কি আবার লেগে নিছে নাকি প্লাস্টিক সার্জারি কইরা যাই হোক দেখেন আসিফ মাতাবুদ সহ যে নতুন বই নিয়া কি কইতেছে ওরাও তো খুশি না দেখেন ভিতরে কি কি দিচ্ছে তার একটা নমুনা কেউ একজন লিক করেছে এবং এটা আসলেই যে তাদের

মধ্যে আছে সেটা আমরা কনফার্ম করেছি যে একটা গল্প তারা দিয়েছে এটা আপনারা সব অনলাইনে পাবেন তো গল্পটার এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা আছে তার মধ্যে আমি একটা পড়ে শোনাই যেটা পড়তেও আমার ভালো লাগছে সানডেস ট্রাই টু ওয়াক লাইক এ লেডি এন্ড নট লাইক দা স্লাক্স দ্যাট ইউ অন বিকামিং এটার মানে হচ্ছে এইভাবে মানে রবিবারে ভালোভাবে

হেঁটে যাবে যাতে করে তুমি যেই না সেটা হতে চাও তুমি যেটা সেটা সেটা না হতে পারো এবং এই গল্পে এই ওয়ার্ড গুলি মা মেয়েকে ডাকছে এটা মানে বারবার আসছে আমি জানিনা এই গল্পটা আমাদের সাহিত্য বা ইংলিশের ক্লাস নাইনের ক্লাস নাইনের বইয়ে থাকার কতটা প্রয়োজন তার মানে সিলেবাস নিয়ে ঝামেলা মিটাইতে পারে নাই এবার আসেন

আমি সলিউশন নিয়ে কথা বলি এখন যেভাবে বই ছাপা হয় সেটা বন্ধ করতে হবে তাইলে পরিবেশের ক্ষতি কিছুটা কমবে গাছ কাটতে হবে না এই কাগজ তৈরি করার জন্যে কোন ছাপা বই থাকবে না ছাত্র-ছাত্রীরা ট্যাব পাবে ট্যাব ট্যাব এক বছর বইয়ের জন্য প্রত্যেক ছাত্রের পিছনে খরচ হয় প্রায় 500 টাকার মতো ট্যাবের

আয়ুষকাল যদি তিন বছর ধরি তাইলে এই তিন বছরের খর্চা মানে 1500 টাকায় বাংলাদেশে একটা উন্নতমানের ট্যাব উৎপাদন করা যাবে যেটা পড়ালেখা করতে পারবে চিন্তা করেন কি পরিমাণে কর্মসংস্থান হবে যদি আমরা বাংলাদেশে ট্যাব উৎপাদন করতে পারি আবার ট্যাবের তো ট্রাবল শুটিং হবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নানা উদ্যোগ গড়ে

উঠবে নানা লোক এখানে কাজ করবে এইটা সব স্কুল মাদ্রাসা একসাথে থাকবে একটা সেন্ট্রাল ডাটাবেজে ভ্যালিডেটেড চ্যাপ্টার থাকবে বইয়ের লেখে লেখে ওইখানে ভ্যালিডেটেড চ্যাপ্টার একটা স্টোর করা হবে আর্কাইভে ওই আর্কাইভে চ্যাপ্টার গুলো থাকবে বইগুলা লিখবে স্কুল আর মাদ্রাসার

শিক্ষকেরা ভ্যালিডেট করবে একটা বোর্ড সংশ্লিষ্ট স্কুল বা মাদ্রাসার নিজের বই বা নিজের মডিউল সেন্ট্রাল ডাটাবেস থেকে আর্কাইভ থেকে চ্যাপ্টার দিয়ে নিজেরাই তৈরি করে নেবে ইলেকট্রনিক্যালি বলবে আমার বই এই চ্যাপ্টার গুলো থাকবে ব্যাস বই তৈরি হয়ে গেল ওইটা ডাউনলোড করে নেবে ছাত্ররা

এটার সুবিধা হচ্ছে স্থানীয় ভিত্তিতে নিজস্ব সিলেবাস তৈরি হবে ধরেন আমি একটা এক্সাম্পল দেই ময়মনসিং রাজশাহী চাঁপাই নবাবগঞ্জ পাবনা বগুড়া কুড়িগ্রাম গাইবান্ধা এ সমস্ত অঞ্চলে একটা বিশেষ রোগ হয় জানেন খুব খতরনাক রোগ হয় এর নাম হইতেছে কালাজ্বর এইখানে কালাজ্বরের কিভাবে

প্রতিরোধ করা যায় কালোজরের রোগীকে কিভাবে আইডেন্টিফাই করা যায় সেই বিষয়গুলো যদি ওই অঞ্চলের বইগুলোতে থাকে তাইলে চিন্তা করেন ওই অঞ্চলের ছেলেমেয়েগুলো জাইনা উঠবে কিভাবে এই রোগটাকে সামলানো যায় স্থানীয় অঞ্চলের সংস্কৃতি স্থানীয় স্কুলে পড়ানো হবে ধরা যাক ময়মনসিংহ গৃতিকা এটা পড়ানো

হবে ময়মনসিংহ অঞ্চলের স্কুলগুলোতে লবণাক্ততা এটা থেকে বাঁচার উপায় এটার পড়ানো হবে উপকূল অঞ্চলে চাঁপাই নবাবগঞ্জে পড়ানো হবে গম্ভীরা স্থানীয় সংস্কৃতি কালাই রুটি পার্বত্য চট্টগ্রামের ম্যালেরিয়া পড়ানো হবে অত্যন্ত রিস্ক ক্যালেক্রোম তৈরি করতে পারবো আমরা স্কুলের শিক্ষক আর স্থানীয় স্কুল কমিটি তাদের বই

ঠিক করে নেবে বইয়ের সাথে সাথে কয়েক হাজার প্রশ্ন তৈরি করা থাকবে এ প্রশ্ন করার জন্য কোন ঝামেলার দরকার নাই স্যাট জিপিডিতে বইটা আপলোড করে দিয়ে বললেই হবে এই বই থেকে 2000 প্রশ্ন তৈরি করে দাও উত্তরও তৈরি করে দাও তাইলে তারা প্রশ্ন তৈরি করে দিবে উত্তরও তৈরি করে দিবে বইয়ের চ্যাপ্টারের ভ্যালিডিটি থাকবে তিন

বছর প্রত্যেক বছর এই আর্কাইভে নতুন নতুন চ্যাপ্টার তৈরি হবে আবার যুক্ত হবে যুক্ত হবে যুক্ত হবে স্কুলে স্কুলে কম্পিটিশন হবে বইয়ের চ্যাপ্টার লেখার জন্য ছাত্রদের মধ্যে ছাত্ররাই লিখবে নিজেদের বইয়ের চ্যাপ্টার ক্লাস নাইনের ছাত্ররা তো অবশ্যই ক্লাস এইটের ছাত্র বই লিখতে পারবে তাই না

আমরা সেরা চ্যাপ্টার গুলো সারাদেশ থেকে বের করে নিয়ে এসে আর্কাইভে রাখবো সারাদেশের স্কুল ছাত্ররা যদি লেখে তার মধ্যে থেকে আমরা নিশ্চয়ই 10-12 টা ভালো চ্যাপ্টার পাবো যারা ভালো লিখছে প্রত্যেক চ্যাপ্টারের জন্য অনলাইন টিচিং মডিউল তৈরি করব অনলাইনে সেইখান থেকে মূলত শিখবে

ছাত্ররা আমাদের কোয়ালিটি শিক্ষকের সমস্যা কমবে একজন লক্ষ লক্ষ ছাত্রকে পড়াইতে পারবে সেরা শিক্ষকের টিচিং মডিউল তৈরি করবে সারাদেশে একই রকমের শিক্ষার মান নিশ্চিত হবে পরীক্ষা হবে ইলেকট্রনিক্যালি কিভাবে ওই ট্যাব দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে সবাই প্রশ্ন রেন্ডমলি তৈরি হবে অ্যালগরিদম দিয়া এ একজনের জন্য এ এক প্রশ্ন পরীক্ষাও

দেবে ট্যাব থেকে কাউকে প্রশ্ন করতে হবে না খাতা দেখতে হবে না টেবুলেশন শিট বানাইতে হবে না সকালে পরীক্ষা বিকালে রেজাল্ট বের হয়ে যাবে কত সময় বাজবে দেখেন পুরা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সিলেবাস নিয়ে বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে রাখাল রাহাদের রাহাজানি থানরে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দিতে পারবো এইটা

অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এইটা কি বাস্তবায়ন করবে এই সরকার এই সরকার তো কিছুই করে না কিন্তু বলতে তো অসুবিধা নাই আমাদের স্বপ্নটা জাগায় রাখতে হবে আমাদের জাতিকে বুঝাইতে হবে আমাদের সম্ভাবনাটা কত বিশাল আমাদের সমস্যা যাই থাক তার সৃজনশীল সমাধান আছে একদিন না হয় একদিন এই সমাধান বাস্তবায়িত

হবে ততদিন স্বপ্নকে জায়গায় রাখতে হবে আমাদের আমরা স্বপ্ন দেখি এমন এক বাংলাদেশের যেখানে শিক্ষা জন্য অপেক্ষা করতে হয় না যেখানে পাঠ্যবই বিতরণে অব্যবস্থাপনার শিকার হইতে হয় না আমরা স্বপ্ন দেখি এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা যা শুধু জীবিকা অর্জনের পথ দেখায় না বরং সৃজনশীলতা উদ্ভাবনী শক্তি এবং আত্মমর্যাদা

জাগায় তোলে আমাদের স্বপ্ন একটা বিপ্লবের সৃজনশীল বিপ্লবের এই বিপ্লব কোন বন্দুকের গুলিতে না কোন আন্দোলনে না কোন প্রতিবাদের মিছিলে না এটা হবে আমাদের চিন্তায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমাদের কর্মের মাধ্যমে বিপ্লব আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেকটা শিশু একটা সম্ভাবনার প্রদীপ আমাদের কাজ সেই প্রদীপের আলোকে জ্বালানো তাদের হাতে কেবল

সঠিক বই তুলে দেওয়া না বরং এমন একটা শিক্ষার প্লাটফর্ম দেওয়া যেখানে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ সংস্করণ হয়ে উঠতে পারবে সেই তার বেস্ট ভার্সন হয়ে উঠবে আমরা চাই প্রত্যেকটা শিশু জানুক যে তারা কেবল ভবিষ্যতের অংশ না তারা নিজেরাই ভবিষ্যৎ এই শিক্ষাব্যবস্থা তাদের আত্মবিশ্বাস সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলী গড়ে

তুলবে তারা শুধু স্বপ্নই দেখবে না তারা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে শিখবে এই বিপ্লব আমাদের শুরু করতে হবে আমাদের চিন্তা কথা এবং কাজের মাধ্যমে আমরা সেই আগুন চারিদিকে ছড়ায় দেব আমরা প্রমাণ করব শিক্ষা শুধু এক প্রজন্মকে না পুরা জাতিকে বদলায় দিতে পারে আসেন আমরা এই স্বপ্নের অংশ হই আসেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *