ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশনা: মহাখালীতে রিকশা চালকদের অবরোধ
প্রেক্ষাপট:
ঢাকার মহাখালী এলাকায় আজ সকাল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা একটি বিশাল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। এ কর্মসূচি মূলত সরকারের নির্দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অবরোধের ফলে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে, যার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
অবরোধের প্রভাব:
- সড়কে যানজট: মহাখালীর প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
- ট্রেন চলাচল ব্যাহত: অবরোধের প্রভাবে মহাখালী সংলগ্ন রেললাইনেরও ব্যবহার ব্যাহত হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
- স্কুল-কলেজ ও অফিস যাতায়াত: শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী মানুষ যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
রিকশা চালকরা দাবি করেছেন:
- বিকল্প ব্যবস্থা না নিয়ে রিকশা বন্ধ করা: সরকার কোনোরকম বিকল্প জীবিকা বা ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা না করেই ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
- পরিবার চালানোর সংকট: অনেক রিকশা চালক অভিযোগ করেছেন, এই নির্দেশনা কার্যকর হলে তাদের পরিবার না খেয়ে থাকবে।
- সুবিধাজনক সমাধান দাবি: তারা সমাধান হিসেবে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বা পরিকল্পনার আওতায় রিকশাগুলোকে অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারি অবস্থান:
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করার পেছনে মূল কারণ হলো:
- নিরাপত্তা ঝুঁকি: ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
- অবৈধ যান: এগুলো নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড মেনে তৈরি করা হয়নি, যা পরিবহন ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
- পরিবেশ দূষণ: পুরনো ব্যাটারিগুলো পরিবেশের ক্ষতি করছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া:
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ইস্যুতে আলোচনা চলছে এবং চালকদের দুর্ভোগ লাঘবে যথাসম্ভব উদ্যোগ নেওয়া হবে। পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আলোচনার চেষ্টা চলছে।
সাধারণ মানুষের অভিমত:
- যানজটের দুর্ভোগ: যারা প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য সড়ক ব্যবহার করেন, তারা এই অবরোধে ক্ষুব্ধ।
- রিকশা চালকদের প্রতি সহানুভূতি: অনেকে মনে করেন, সরকারকে বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করে চালকদের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে।