বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি। উদ্যোক্তা তৈরির গুরুত্ব এবং সৃজনশীল শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। জানতে পড়ুন বিস্তারিত।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থীদের তৈরি করতে বেশি মনোযোগী, যা অর্থনীতির উন্নয়ন এবং জাতীয় স্বনির্ভরতার জন্য পর্যাপ্ত নয়। তার মতে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সংস্কার করতে হবে যাতে তা শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
তার বক্তব্যের মূল পয়েন্টগুলো
- তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের ঘাটতি রয়েছে। এটি শুধুমাত্র চাকরির বাজারের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরি করছে।
- উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা কার্যক্রমে নতুন বিষয়বস্তু এবং প্রাসঙ্গিক দক্ষতা যোগ করার কথা বলেন তিনি।
- উদ্যোক্তা তৈরির গুরুত্ব:
- তিনি আরও বলেন, একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্টার্টআপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো পরিবর্তন আবশ্যক।
- কৌশলগত পরামর্শ:
- কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
- প্রাথমিক স্তর থেকেই সৃজনশীল ও সমাধানমুখী চিন্তাধারার চর্চা শুরু করার পরামর্শ দেন।
- আন্তর্জাতিক উদাহরণ:
- তিনি বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে বলেন, উন্নত অর্থনীতিগুলো উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিযোগিতামূলক করেছে। বাংলাদেশেও এই ধরণের পরিবর্তন আনা উচিত।
প্রাসঙ্গিক প্রভাব
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন: শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে উঠলে অর্থনীতিতে নতুন ব্যবসার প্রসার ঘটবে।
- বেকারত্ব হ্রাস: উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
- গ্লোবাল পার্টনারশিপ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের উদ্যোক্তা কার্যক্রম আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারে পরিকল্পিত উদ্যোগ
- কারিকুলামে উদ্যোগ সংক্রান্ত কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা।
- প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন চর্চার সুযোগ বাড়ানো।
- আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করা।
সারসংক্ষেপ
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের দরজা খুলে দিতে পারে। এটি শুধু শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নয়নই নয়, বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।
বিস্তারিত প্রতিবেদনটি দেখুন প্রথম আলো এবং নিউজবাংলা২৪-এ।