Site icon

সিলেটে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহার পাঁচ দিনের রিমান্ড

সিলেটে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহার পাঁচ দিনের রিমান্ড

সিলেটে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহার পাঁচ দিনের রিমান্ড

সিলেট: সিলেটের আলোচিত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই সিদ্ধান্ত বিচারপতি মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের আদালতে প্রস্তাবিত হয় এবং তাতে সম্মতি প্রদান করা হয়।

মামলার পটভূমি

গত ১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় এ টি এম তুরাবকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি একাধিক আঘাতে আক্রান্ত হন এবং দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিক মহল ও স্থানীয় জনমনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

অভিযুক্তের পরিচয়

পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল সিনহা, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তুরাবের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরেই এই হামলা হয়েছিল। উজ্জ্বল সিনহাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য রিমান্ড প্রয়োজন।

তদন্তের অগ্রগতি

সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম এক বিবৃতিতে জানান, ‘আমরা হত্যার প্রকৃত কারণ এবং এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা বের করার জন্য জোর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ঘটনা সিলেটের আইনশৃঙ্খলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখছে।

সাংবাদিক সমাজের প্রতিক্রিয়া

এই হত্যাকাণ্ডের পর সিলেটসহ সারা দেশে সাংবাদিক সমাজ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। তারা দোষীদের দ্রুততম সময়ে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানায়। সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘তুরাব ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন নির্ভীক সাংবাদিক। তার হত্যার বিচার না হলে সাংবাদিক সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।’

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

সিলেটের সাধারণ জনগণও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও নিন্দা জানানো হয়। কিছু নাগরিক জানান, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পুলিশ বাহিনীর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করতে হবে।

আইনি পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সিলেট আদালত এই মামলায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আসামির রিমান্ডে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটিত হতে পারে, যা মামলার গতি নির্ধারণে সাহায্য করবে।’ স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উপসংহার

সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যাকাণ্ড সিলেটের সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে পুলিশ ও প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপ জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Exit mobile version