মানিকগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড ২০২৪ প্রতিদিন সকাল
মানিকগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড ২০২৪ প্রতিদিন সকাল
মানিকগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: একটি তেলের পাম্প এবং ৪ হাজার মুরগির বাচ্চা পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ঘটনার সারসংক্ষেপ
মানিকগঞ্জ জেলার একটি তেলের পাম্পে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে পাম্পটি এবং তার সাথে সংলগ্ন একটি খামারে থাকা ৪,০০০ মুরগির বাচ্চা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন পাম্পের মালিক, যিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট কাজ করলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়নি
ঘটনার পটভূমি
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সন্ধ্যার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তেলের পাম্পে হঠাৎ বিস্ফোরণের মতো শব্দ শোনা যায় এবং এর পরপরই চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পাম্পের পাশের মুরগির খামারেও আগুন লেগে তা ধ্বংস হয়ে যায়। পাম্পের কর্মচারীরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, পুরো এলাকাটি ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
- মালিকের ক্ষতি: তেলের পাম্প সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে।
- মুরগির খামার: ৪ হাজার মুরগির বাচ্চা পুড়ে মারা গেছে।
- আর্থিক ক্ষতি: প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা।
প্রতিক্রিয়া ও তদন্ত
স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক ত্রুটি নাকি অন্য কোনো কারণ, তা জানতে তদন্ত চলছে।
আহতদের অবস্থা
পাম্পের মালিকসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। মালিক আতাউর রহমান বর্তমানে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড এড়াতে পাম্প ও খামারের মধ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
- বৈদ্যুতিক তারের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ।
- আগুন নির্বাপণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন।
- কর্মীদের আগুন মোকাবিলার প্রশিক্ষণ প্রদান।
উপসংহার
মানিকগঞ্জের এই ঘটনা এক বড় ধাক্কা। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উচিত এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
