Site icon

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: বিস্তারিত প্রতিবেদন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: বিস্তারিত প্রতিবেদন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: বিস্তারিত প্রতিবেদন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেট আজ একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়ে।

এই ঘটনা স্থানীয় সময় ভোরবেলা ঘটে, যখন অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।

আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী,

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ঘটনাস্থলের অবস্থা

কর্ণফুলী মার্কেট, যা চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত, এই অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

মার্কেটের প্রায় ৫০টিরও বেশি দোকান এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে,

এই ক্ষয়ক্ষতি তাদের জন্য মারাত্মক আর্থিক ধাক্কা হিসেবে দাঁড়াবে।

ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা

আগুনের খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।

প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কর্মকর্তা জানান,

“মার্কেটের ভেতরের সরু পথ এবং অগ্নি নিরাপত্তার অভাবের কারণে আমাদের কাজটি কঠিন হয়ে পড়েছিল।”

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য

মার্কেটের এক ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, “রাতের বেলা আমরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরেছিলাম।

সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি, আমাদের ব্যবসার সব পুড়ে গেছে। এটা শুধু আমার নয়, অনেকের জীবনের কষ্টের ফল ছিল।”

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ

প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, এই অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত দোকানেই পোশাক ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসা ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জানান, “আমরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিচ্ছি।

অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”

অগ্নি নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা

এই ঘটনার পর থেকে কর্ণফুলী মার্কেট এবং আশেপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা নিজেদের

দোকানে আগুন প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা সতর্ক

করেছেন যে, আগাম সতর্কতা না থাকলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সমাপ্তি

চট্টগ্রামের এই অগ্নিকাণ্ড আমাদেরকে অগ্নি নিরাপত্তার গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে সচেতন করেছে।

নিরাপত্তার ঘাটতি ও ত্রুটি সনাক্ত করে তা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন, যাতে এমন দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ জনগণকে সম্মিলিতভাবে আগুন প্রতিরোধের পরিকল্পনা গ্রহণ করা অপরিহার্য।

ট্যাগ: #চট্টগ্রাম #অগ্নিকাণ্ড #কর্ণফুলী_মার্কেট #ফায়ার_সার্ভিস #ব্যবসায়ী_ক্ষতি #অগ্নি_নিরাপত্তা

Exit mobile version