Site icon Pratidin Sokal

ইউরোপের ইতিহাসে এক ভয়াবহ দিন

ইউরোপের ইতিহাসে এক ভয়াবহ দিন

ইউরোপের ইতিহাসে এক ভয়াবহ দিন

১ নভেম্বর ১৭৫৫: লিসবন ভূমিকম্প – ইউরোপের ইতিহাসে এক ভয়াবহ দিন

১ নভেম্বর ১৭৫৫ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন শহরে ঘটে যায় ইউরোপের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এক ভূমিকম্প।

প্রকৃতির এই ধ্বংসাত্মক রূপটি কেবল শহরের সৌন্দর্যই নষ্ট করেনি; বরং প্রায় ৬০,০০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল এবং আরও অনেককে আহত ও গৃহহীন করে দিয়েছিল।

শুধু ভূমিকম্প নয়, এর পরপরই আগুন ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ লিসবন শহরকে একেবারে বিধ্বস্ত করে ফেলে।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে পর্তুগিজ জনগণ এখনো এক শোকগাঁথা হিসাবে স্মরণ করে।

তাদের পূর্বপুরুষদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং একটি সমৃদ্ধ শহরকে পুনরায় গড়ে তোলার অদম্য ইচ্ছা আজও তাদের প্রেরণা দেয়।

আজকের এই পোস্টে আমরা সেই দুর্ঘটনাপূর্ণ দিনের কথা স্মরণ করবো এবং এই ঘটনার প্রভাব কীভাবে ইউরোপীয় সমাজকে নাড়া দিয়েছিল, তা জানব।


ভূমিকম্পের উৎপত্তি ও এর শক্তি

ভূমিকম্পটি সকাল ৯:৪০ মিনিটে আঘাত হানে, যখন শহরের বেশিরভাগ মানুষ তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে প্রার্থনায় ছিল, কারণ এটি ছিল অল সেন্টস ডে।

তখনকার সময়ের হিসেবে ভূমিকম্পটি ছিল ৮.৫ থেকে ৯.০ মাত্রার, যা অত্যন্ত শক্তিশালী। শহরের কেন্দ্রীয় এলাকা ছাড়াও আশেপাশের গ্রামগুলোতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়।

শহরজুড়ে আগুনের লেলিহান শিখা

ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরেই লিসবনের বিভিন্ন স্থানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

এই আগুন বিভিন্ন গৃহস্থালি জিনিসপত্র এবং মোমবাতি থেকে লেগেছিল।

শহরের অধিকাংশ স্থাপনা কাঠের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

অল্প সময়ের মধ্যে পুরো লিসবনকে ঘিরে ধরে এই দাহ্য শিখা।

পরবর্তী পাঁচদিন ধরে এই আগুন একের পর এক এলাকা গ্রাস করতে থাকে, যা রীতিমতো এক ভয়ংকর দৃশ্য হয়ে উঠেছিল।

সুনামি – একটি নতুন বিপদের আগমন

ভূমিকম্পের পরপরই সমুদ্রের পানি অস্বাভাবিকভাবে নেমে যায়, এবং কিছু সময় পর বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে।

এই সুনামির কারণে শহরের নিকটবর্তী এলাকা এবং বন্দর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়।

প্রচুর মানুষ ভেবেছিল সমুদ্র তাদের আশ্রয়স্থল হতে পারে, কিন্তু সেখানেও তাদের মৃত্যু ঘটে।

প্রতিক্রিয়া ও উদ্ধার কার্যক্রম

ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে রাজা প্রথম জোসেফ ও তার প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান জোসে ডি কারভালো সাহায্যের হাত বাড়ান।

বিশেষ করে কারভালো, পরবর্তীতে মারকিস অব পোম্বল নামে পরিচিত, সাহসিকতা এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।

তার নেতৃত্বরূপে শহরের পুনর্গঠন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা কৌশল গড়ে তোলা হয়।

লিসবন নতুন করে গড়ে ওঠে তার নির্দেশনায়, যা একসময় ইউরোপের অন্যতম পরিকল্পিত শহর হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।

ইউরোপজুড়ে প্রতিক্রিয়া

লিসবন ভূমিকম্প কেবল পর্তুগালেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; এটি পুরো ইউরোপে এক প্রভাব ফেলেছিল।

বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও দার্শনিকেরা এই ঘটনাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।

ভলটেয়ার, যিনি সেই সময়ের বিখ্যাত দার্শনিক ছিলেন, ভূমিকম্প সম্পর্কে তার লেখা “ক্যান্ডিড” গ্রন্থে এর ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করেন।

এই ভূমিকম্প এক নতুন বিতর্কের জন্ম দেয় – প্রকৃতির রহস্য এবং ঈশ্বরের উদ্দেশ্য নিয়ে মানুষের চিন্তাভাবনা পুনর্বিবেচনা করতে উদ্বুদ্ধ করে।

লিসবনের শিক্ষা – নতুন ভবিষ্যৎ

লিসবন ভূমিকম্প প্রকৃতপক্ষে আধুনিক ইউরোপীয় স্থাপত্যের পরিবর্তন এবং সিসমিক নীতিমালা তৈরিতে একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল।

লিসবনের পুনর্গঠন সেই সময়ের অন্যতম দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা ছিল, যেখানে ভবনের নির্মাণে ভূমিকম্প প্রতিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

এই বিপর্যয় লিসবনের মানুষকে শিখিয়েছিল কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও সংহতি ধরে রাখতে হয়।

তাদের এই প্রতিজ্ঞা শহরটিকে আবারও দাঁড় করায়, যা আজও এক সমৃদ্ধ ও সুন্দর নগরী হিসেবে বিদ্যমান।


বাংলাদেশের জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেলগুলি

বাংলাদেশে সংবাদ প্রচারের জন্য বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল রয়েছে। এই চ্যানেলগুলি দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সংবাদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এবং অর্থনৈতিক তথ্য সরবরাহ করে। এখানে কিছু প্রধান নিউজ চ্যানেলের নাম উল্লেখ করা হলো:

  1. বাংলাদেশ টেলিভিশন (BTV): দেশের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, যা বিভিন্ন তথ্য ও সংবাদ সরবরাহ করে।
  2. নতুন সময় (Ntv): একটি জনপ্রিয় সংবাদ চ্যানেল, যা ২৪ ঘণ্টা সংবাদ সম্প্রচার করে।
  3. চ্যানেল 24: বাস্তব তথ্য ও খবরের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য উৎস।
  4. এখন (Akhon): বাংলাদেশের একটি নতুন সংবাদের প্ল্যাটফর্ম, যা বর্তমান ঘটনার উপর গুরুত্ব দেয়।
  5. এশিয়ান টিভি (Asian TV): বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিষয়বস্তু নিয়ে সংবাদ প্রদান করে।
  6. বঙ্গবন্ধু টেলিভিশন (Bengali Television): দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সংবাদের উপর বিশেষ নজর দেয়।
  7. সিটিজেন টিভি (Citizen TV): সাধারণ মানুষের গল্প ও সমস্যা তুলে ধরে।
  8. জিটিভি (GTV): একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল, যা দেশের প্রধান খবর এবং বিনোদনের খবর প্রদান করে।
  9. আরটিভি (RTV): টকশো, ডিবেট এবং অন্যান্য সংবাদ অনুষ্ঠান প্রচার করে।
  10. ডিবিসি নিউজ (DBC News): বৈশ্বিক এবং দেশীয় সংবাদ বিষয়ক বিশ্লেষণ।
  11. বিপি নিউজ (BP News): গুরুত্বপূর্ণ খবর এবং বিশ্লেষণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।
  12. সময় টিভি (Somoy TV): নিউজের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার করে।
  13. পিপলস টিভি (Peoples TV): মানুষের মতামত ও সমস্যা তুলে ধরে।
  14. ফক্স টিভি (Fox TV): বৈচিত্র্যময় খবর এবং বিনোদন সংক্রান্ত অনুষ্ঠান।
  15. যমুনা টিভি (Jamuna TV): দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এবং ঘটনা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

কেন এই চ্যানেলগুলি অনুসরণ করবেন?

এই নিউজ চ্যানেলগুলো থেকে তথ্য গ্রহণ করে আপনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, রাজনৈতিক পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন। এছাড়াও, প্রতিটি চ্যানেলের নিজস্ব বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ এবং মতামত আপনার জ্ঞানের দিগন্তকে প্রসারিত করবে।

উপসংহার

বাংলাদেশের এই নিউজ চ্যানেলগুলি সংবাদ পরিবেশন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আপনার তথ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য উপরের চ্যানেলগুলো অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়। যদি আপনি আরো বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে প্রতিটি চ্যানেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বা ইউটিউব চ্যানেলে যেতে পারেন।

Exit mobile version